প্রাকৃতিক সোন্দর্য্যের নিস্বর্গ বলা হয় বান্দরবানকে। প্রাকৃতির বৈচিত্র্যের এই লীলাভূমিতে রয়েছে উঁচুনিচু পথ, পাহাড়জুড়ে ঘন সবুজের সমারোহ যেন একেঁবেঁকে চলে গেছে গভীর থেকে আরো গভীরে।
বৈচিত্র্যময় পাহাড়ি জেলা বান্দরবন এর রূপের জাদুর যেন শেষ নেই। প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে এখানে মেলে ধরেছে তার সৌন্দর্যের মায়াজাল। বান্দরবনের পাহাড়, ঝর্ণা, লেক সবকিছুতেই রয়েছে বর্ণিল সৌন্দর্যের ছোঁয়া। আর তেমনই এক সৌন্দর্যের জায়গা হল নাইক্ষ্যংছড়ির উপবন লেক।
বান্দরবান শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটারের দূরে এই লেকটি অবস্থিত। বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে জেলা পরিষদ ডাক বাংলো ঘেঁষে উপবন লেকের অবস্থান। এটি একটি কৃত্রিম হ্রদ। এ স্থানটি ইকো ট্যুর ও পিকনিক স্পট হিসেবে বেশ পরিচিত।
সবুজ আর নীলের মাঝে লেকের বুক চিরে দাড়িয়ে আছে ঝুলন্ত ব্রিজ। অসাধারণ সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। একে আরো সৌন্দর্য্যমন্ডিত করে তুলেছে দৃষ্টিনন্দন সারি সারি বিভিন্ন প্রজাতির সবুজ পাতার গাছগুলো। এখানে মাছ ধরা ও নৌকা ভ্রমণের সুবিধা রয়েছে। রয়েছে পাহাড়কন্যা নাইক্ষ্যংছড়ির মনোরম ছায়ানিবিড় সৌন্দর্য অবলোকনের সুযোগ। যা আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এখানে বনের মাঝে গড়ে তোলা হয়েছে আকাশ বাড়ি, পিকনিকের জন্য ছোট্ট বেশ কয়েকটি ঘর। চারদিক সবুজ অরণ্য ঘেঁষে পাহাড় চূড়ার উপর প্রাকৃতিক হ্রদের এমন দৃষ্টিনন্দন রূপ যে কোন মানুষকে মুগ্ধ করবে।
ঝুলন্ত ব্রিজটির পাশেই একটি ছোট্ট উপজাতীয় পল্লী আছে। এখানে আছে ছোট ছোট বিশ্রাম ঘর, আর উঁচু-নিচু পিচঢালা পথ। বিশেষ করে রাতের নাইক্ষ্যংছড়ি দেখতে দারুণ লাগে।
কিভাবে যাবেন:
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বান্দরবানগামী বাস রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়িতে ছড়েও যেতে পারেন বান্দরবান। বান্দরবান শহর থেকে রামু বাইপাস নেমে সিএনজি বা ট্যাক্সি নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় যেতে পারেন। তারপর ওখান থেকে রিকশায় বা হেঁটে উপবন পর্যটন লেকে পৌঁছানো যায়। কক্সবাজার থেকে চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করেও এখানে যাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment